সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Monday, 16 December 2024

বাদাম : বাদামের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

 


বৃষ্টিস্নাতে বাদাম-বুট ভাজা চিবোনোর ইচ্ছের প্রয়াস! আবার, দুধের সেমাইয়ে ভেসে উঠা লোভনীয় চিনাবাদামটা আগেই খেয়ে নেওয়া! এই বাদাম তো আমাদের সকলেরই চেনা! বাদাম যদিও আমাদের অনেকেরই প্রিয়, তবে এই স্ন্যাক্সটি যে আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য জাদুকরী উপকার রাখছে তা নিয়ে কয়জনই বা জ্ঞান রাখি!


প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাদাম কি থাকছে? যদি না থাকে, তবে আজই বাদামের পুষ্টিগুণ সমুহ জেনে আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার তালিকায় বেছে নিন মুখরোচক বাদাম। আজকে থাকছে বাদামের উপকারিতা সম্পর্কিত তথ্য। 
বাদামের প্রকারভেদ ও চেনা পরিচিতি।
সাধারনত, আমাদের দেশে যেসব বাদাম খুব সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যায় যেসব বাদামের চেনা পরিচিত জেনে নেওয়া যাক!

০১. চিনাবাদাম। 
০২.আখরোট।
০৩. পেস্তাবাদাম। 
০৪. আমন্ড।
০৫. কাজুবাদাম এবং অন্যান্য!
বাদামের পুষ্টিগুণ সমুহ :
প্রায় সকল বাদামেই রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ প্রভৃতি! নিচের টেবিলটির দিকে লক্ষ্য করলেই আপনি প্রতিটি বাদামের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তথ্য পাবেন। ⇓ 
নাম
প্রোটিন
মোট চর্বি
সম্পৃক্ত চর্বি
পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
কার্বোহাইড্রেট
কাজুবাদাম
২১.২৬
৫০.৬৪
৩.৮৮১
১২.২১৪
৩২.১৫৫
২৮.১
আখরোট
১৫.২৬
৬৫.২১
৬.১২৬
৪৭.১৭৪
৮.৯৩৩
১৯.৫৬
চিনাবাদাম
২৩.৬৮
৪৯.৬৬
৬.৮৯৩
১৫.৬৯৪
২৪.৬৪
২৬.৬৬
পেস্তাবাদাম
২০.৬১
৪৪.৪৪
৫.৪৪
১৩.৪৫৫
২৩.৩১৯
৩৪.৯৫


বাদাম খাওয়া হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস সহ অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে।
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখার প্রয়োজনীয়তা!
বাদাম হলো বিকল্প নাস্তা।  যদিও বাদামে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে তবে এগুলো স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিন ও ফাইবারের ভালো উৎস। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে বাদাম বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে। বিশেষ করে হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করার ক্ষেত্রে। ৩৩ টি গবেষণার একটি মেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে বাদামের উচ্চ ডায়েটগুলি ওজন বা ওজন হ্রাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে না। তাহলে চলুন জেনে নিই বাদাম খাওয়ার স্বাস্থ্য পক্ষের উপকারিতা গুলি কি কি।  


০১. ক্লান্তি দূর করে বাদাম!
প্রতিদিন দৈহিক ও মানসিক পরিশ্রমে আপনার চারিপাশেই যেন ক্লান্তির ছায়া! আরেকটু ত কাজ করা দরকার, এখনই ঘুমোলে কেমনে? ঘুম ছাড়া আরেকটি উপায় এক্ষেত্রে কাজে দিবে! প্রতিদিন নিয়মিত বাদাম খেলে আপনার ক্লান্তভাব অনেকাংশে দুর হয়ে যাবে।
০২. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বাদামের ব্যবহার!
৬৯ এর পর কোন সংখ্যাটি যেন মা পড়িয়েছিল? মনে পড়ছেনা কেন?!! আপনার শিশুর স্মৃতিশক্তি কি দুর্বল? অথবা আপনার ও কি কিছু জিনিস মাথায় থাকছেনা? আজই বাদাম খাওয়ার নিয়মিত অভ্যেস করুন। কারন এতে থাকা ভিটামিন বি আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা রাখে।


০৩. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ!
ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকেরই আছে! এই সমস্যা কেন হয়? রক্তে সোডিয়ামের পরিমান বেড়ে গেলে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, যার ফলে হাই ব্লাড প্রেসার এর সৃষ্টি হয়! নিয়মিত বাদাম খেলে, রক্তে সোডিয়ামের মান নিয়ন্ত্রণে থেকে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিকে চলে আসে।

 ০৪. দুরারোগ্য রোগ ক্যান্সারে বাদামের উপকাতিরা :
কাজুবাদাম ক্যান্সার রোধে ঔষুধি গুন হিসেবে কাজ করে। কাজু বাদামে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোধে ভুমিকা রাখে।
০৫. শরীরের মেদ কমায় বাদাম!
মাত্রারিক্ত ক্ষুদা যেন বেড়েই চলেছে। হাটাচলা করতে লাগছে অস্বস্তি! মেদ দিন দিন বেড়েই চলেছে! কোন উপায় ই কাজে লাগছেনা!!!আর নয় টেনশন! কারন, প্রতিদিন বাদাম খেলে আপনার শরীরের মেদ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এর কারণ বাদাম আপনার অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা কমায় এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
০৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে বাদামের উপকারিতা :
শরীরের রক্তে শর্করা/গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়বেটিস এর লক্ষন দেখা যায়। এই রোগে নিয়মিত খাবার ও শারীরিক চর্চার পাশাপাশি প্রতিদিন বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী। এতে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রনে থাকে। 


বাদামের অপকারিতা :
বাদামের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও বিদ্যমান! কাঠবাদাম খেলে মেদ তো কমে, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোনকিছুই ভাল নয়। এতে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাট আপনার মেদ/ওজন বৃদ্ধি ও ঘটাতে পারে। আবার কিছু কিছু বাদামে অ্যালার্জিও হতে পারে। যেমন- চীনাবাদাম খেলে অ্যালার্জির আশংকা দেখা দেয়।কাজুবাদাম অত্যাধিক পরিমানে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে। বাদামের উপকারিতা জেনে প্রতিদিন পরিমানমত বাদাম খাওয়ার অভ্যেস করুন এবং সুস্বাস্থ্যের কথা আরেকটিবার ভাবুন। তো আজ এই পর্যন্তই। আবারও দেখা হবে নতুন কোনো বিষয়ে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এই কামনায়, আল্লাহ হাফেজ। 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: