Sonar Bangla blog: স্বাস্থ্যসেবা

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
Showing posts with label স্বাস্থ্যসেবা. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্যসেবা. Show all posts

Monday, 16 December 2024

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

 


কালোজিরা কি ও কালোজিরা কি কি উপকারে লাগে তা আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে অসুখ বিসুখে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মগুলি জেনে নিব। আপনার স্বাস্থ্য সমস্যায় কালোজিরার ওষুধি গুনাগুন গুলি কাজে লাগিয়ে সেফা লাভ করতে পারেন। প্রিয় পাঠক পাঠিকা, তাহলে চলুন আমরা কালোজিরার ওষুধি গুণাগুন গুলো জেনে নিই…


কালোজিরার উপকারিতা ও ঔষুধি গুণাগুণ
জিরা দুই রকম, যেমন-জিরা এবং কালোজিরা।
এদেরকে আমাদের রান্না ঘরে দেখা গেলেও ঔষধ হিসেবেও এরা কম যায় না। শুনেছি কালোজিরা নাকি আমাদের দেশে হতো না। তবে কবে, কখন যে আমাদের দেশে এ গুলো জন্মাতে শুরু করেছে, তাও নাকি সঠিক জানা যায়নি।
কালোজিরার গাছ দেখতে ছোট। লম্বায় এক হাত বা তার চেয়ে একটু বড় হতে পারে। কার্তিক-অগ্রাহায়ণ মাসে কালোজিরা গাছে ফুল আসে। তারপরে ফল হয় এবং সেটি পাকে পৌষ-মাঘের দিকে।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম


কালোজিরা ক্ষুধা বাড়ায়। পেটের বায়ু দূর করে আর প্রস্রাব বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া পেট ও ফুসফুসের রোগে ভালো কাজ করে। অর্শ রোগেও এটি ব্যবহার করা হয়। তবে এই কালোজিরা গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ বাড়াতেও সাহায্য করে বলে জানা গেছে। তা’হলে জানা যেতে পারে আর কী কী রোগে কালোজিরা উপকারে লাগে…
বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম 


০১ অনিয়মিত মাসিকঃ অনেক মেয়েরই মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে। কখনো আগে, কখনো বা পরে হয়। কেউ আবার মাসিকে অল্প রক্ত বা বেশি রক্ত যাবার কারণে কষ্ট পান। এই ক্ষেত্রে কালোজিরার চিকিৎসা ভালো ফল দিতে পারে। মাসিক হওয়ার ৫/৭ দিন আগে থেকে কালোজিরা তৈরি ঔষধ খেতে হবে। প্রথমে ৫০০ মিলিগ্রাম কালোজিরা নিয়ে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে সকালে আর বিকালে দু’বার খেতে হবে। আশা করা যায়, এতে মাসিকের সমস্যা কমে যাবে। যদি এতে কাজ না হয়, তবে দুই-তিন মাস এই ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে।
০২. বুকে দুধ বাড়াতেঃ মায়ের বুকে দুধ কম থাকলে কালোজিরা খেলে দুধ আসে। প্রথমে ৫০০ মিলিগ্রাম কালোজিরা একটু ভেজে নিয়ে গুঁড়া করতে হবে। এই কালোজিরা গুঁড়া ৭/৮ চা-চামচ দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে দু’বার খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রসব পরবর্তীকালে কালোজিরা ভর্তা খেলে জরায়ু স্বাভাবিক হয়ে যায়।
৩. চুলকানিঃ শরীরে চুলকানি হলে কালোজিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানির উপশম হয়। ১০০ গ্রাম সরিষার তেলে ২৫/৩০ গ্রাম কালোজিরা ভেজে সেই তেল ছেঁকে নিয়ে গায়ে ব্যবহার করলে চুলকানি সেরে যায়।


৪. বিছার হুলের জ্বালা-পোড়াঃ বিছা গায়ে হুল ফোটালে খুব জ্বালা পোড়া হয়। এই জ্বালা-পোড়া থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা বেটে হুল ফোটানো জায়গায় লাগিয়ে দিতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা-পোড়া কমে যাবে।
৫. সর্দির কারণে মাথার যন্ত্রণাঃ কাঁচা শ্লেম্মায় খুব মাথা ব্যথা হয়। সেক্ষেত্রে কালোজিরা এক টুকরো কাপড়ের পুটুলিতে নিয়ে নাক-দিয়ে শুঁকতে হবে। মাঝে মাঝে পুটুলিকে একটু নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। কালোজিরার গন্ধে মাথার যন্ত্রণা কমে যাবে।
স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় আরও ঘরোয়া টিপস ও লতাপাতার উপকারিতা
০১. লবঙ্গের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
০২. অসুখ বিসুখে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমরা আশা করি কালোজিরার উপকারিতা ও ওষুধি গুণাগুণ জেনে আপনার ভালো লেগেছে। এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবারের নাম ও উপকারিতা

মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবারের নাম ও উপকারিতা

 


প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কি কি খাবার খেতে ভালোবাসতেন, সেসব খাবারের নাম, পুষ্টিগুণাগুণ ও স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সমূহ আপনাদেরকে জানাতে আজ আমি লিখতে বসেছি। এই আর্টিকেলে আমি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় খাবারের নাম এবং স্বাস্থ্যগত উপকারিতার দিকগুলো বর্ণনা করবো। চলুন সামনে এগিয়ে যায়: 


শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্যই নয়, নন মুসলিমদের কাছেও আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একজন আইডল। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদর্শ আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপেই শিক্ষনীয়।
প্রতিনিয়ত আমরা সকলেই আমাদের খাদ্যাভাস নিয়ে কম বেশি চিন্তিত থাকি। ক্রমশই বাড়তি নানাবিধ রোগের শুধুমাত্র কারন অনিয়মিত ও অপুষ্টিজনিত খাদ্যাভাস। এক্ষেত্রে, একমাত্র সঠিক খাদ্য তালিকা বাস্তবায়ন খুব জরুরী।


বৈজ্ঞানিক গবেষনা মতে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর খাদ্যাভাস সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে যথাযথ উপযোগী। আমাদের প্রিয়নবীর খাদ্যাভাস জানলে সুন্নত তো মেনে চলা হবেই, সাথে মুক্তি মেলবে জানা-অজানা রোগসমুহ থেকে।
তাই, আমরা আজকের এই আর্টিকেল থেকে যা জানতে, বুঝতে  ও শিক্ষতে পারবো : 
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবারের নাম। 
কুরআন ও হাদিসের আলোকে পুষ্টি ও গুনাগু


চিকিৎসাশাস্ত্র ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সেইসকল খাবারের পুষ্টি গুনাগুণ ও উপকারিতা।   
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবারের তালিকা!
আমাদের নবীজী খেজুর, মিষ্টি, মধু, কিসমিস, লাউ, কালোজিরা, যয়তুন তেল, ডালিম, পানি, ভিনেগার,  মাশরুম ও আঙ্গুর খেতে বেশি পছন্দ করতেন। 
০১. খেজুর: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি হল খেজুর। সাধারনত, রোজা বা সিয়াম পালনের সময় প্রায়শই আমরা খেজুর আবশ্যক মনে করি। তবে কিছু হাদিস উল্লেখ করলে হয়ত দৈনিক খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করা শুরু করবেন।


কুরআন ও হাদিসের আলোকে খেজুর খাওয়ার গুরুত্ব : ব্ল্যাক ম্যাজিক বা জাদু টোনার প্রভাব রোধে, হজরত সাদ ইবনে আবি ওক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ৭টি আজওয়া (উৎকৃষ্ট খেজুর) খেজুর খাবে, ওই ব্যক্তিকে বিষ ও জাদু-টোনা কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
হৃদরোগ নিরসনেঃ হযরত সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি আমার বুকের ওপর হাত রাখলেন তখন আমি হৃদয়ে শীতলতা অনুভব করলাম। তিনি বলেন, তোমার হৃদরোগ হয়েছে। এরপর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সাকিফ গোত্রের অধিবাসী হারিসা ইবনে কালদার কাছে যেতে নির্দেশ দেন। অতঃপর বলেন, কেননা সে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। আর সে যেন মদিনার ৭টি আজওয়া খেজুর নিয়ে বিচিসহ চূর্ণ করে তোমার জন্য তা দিয়ে সাতটি বড়ি তৈরি করে দেয়। (আবু দাউদ,হাদিস: ৩৮৩৫)
প্রসুতি মায়ের প্রসব বেদনা নিরাময়ে : সুরা মারইয়ামের ২৫নং আয়াতে হযরত মারইয়াম (আ.) এর প্রসব বেদনার সময় আযওয়া খেজুরের গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।

 হযরত মারইয়াম (আ.) প্রসব বেদনায় কাতর হয়ে পড়েন এবং তখন তিনি খেজুর গাছের নিচে অবস্থান করেছিলেন। আল্লাহ্ তখন উনাকে লক্ষ্য করে বলেনঃ তুমি এই খেজুর গাছের কান্ড তোমার দিকে নাড়াও, দেখবে তা তোমার উপর পাকা ও তাঁজা খেজুর ফেলছে। (সুরা মারইয়াম-২৫)


চিকিৎসাশাস্ত্র ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে খেজুর খাওয়ার গুরুত্ব : খেজুরে বিদম্যান রয়েছে –
ভিটামিনঃ ভিটামিন ই-১, ই-২, ই-৩, ই-৫ ও ভিটামিন সি।
আয়রনঃ ৭.৩ মিলিগ্রাম।
কোলেস্টেরল ও চর্বিঃ ০.৬গ্রাম (প্রতি ১০০গ্রামে)
আমিষঃ ২.২ (প্রতি খেজুরে)
ক্যালসিয়ামঃ ৬৩ মিলিগ্রাম আঁশঃ ৩.৯ গ্রাম ( প্রতি ১০০গ্রামে)
আঁশঃ ৩.৯ গ্রাম ( প্রতি ১০০গ্রামে)


খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সমূহ :
খেজুর প্রোটিন এর চাহিদা পুরনে সহায়ক, যা মানবদেহের পেশি গঠনে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে।
দেহের দুর্বলতা রোধ ও তাৎক্ষণিক শক্তি সন্ঞ্চায়নে খেজুর অত্যাধিক কার্যকর।
খেজুরে বিদ্যমান এন্টি এক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেশার কমাতে খেজুর সহায়ক ভুমিকা রাখে।
রক্তশুন্যতা কমাতেও রোজ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা মেলে।


দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রনসহ, রাতকানা রোগের জন্য ও খেজুরের উপকারিতা অনেক।
০২. কিসমিস: কিসমিস মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) রোজ সকালে খালি পেটে খেতেন৷ কিসমিস এর দারুন উপকারিতা ও কার্যকারিতা জানলে আপনিও খাদ্যাভাসে এই সুন্নত মেনে চলতে আগ্রহী হবেন। তবে চলুন জেনে নি, দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে কিসমিস এর গুরুত্ব।

কুরআন ও হাদিসের আলোকে কিসমিস খাওয়ার গুরুত্বঃ
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত- ‘রাসূল (সা.) এর জন্য কিসমিস ভিজিয়ে রাখা হতো এবং তিনি সেগুলো পান করতেন।’ (মুসলিম)।
চিকিৎসাশাস্ত্র ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে কিসমিস খাওয়ার গুরুত্ব :
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০গ্রাম কিসমিসে যেসব পুষ্টিগুন বিদ্যমান-
এনার্জি: ৩০৪ কিলোক্যালরি।
আয়রন: ৭.৭মিলিগ্রাম।
ক্যালসিয়াম: ৮৭ মিলিগ্রাম। 
সোডিয়াম: ২০.৪ মিলিগ্রাম।
কার্বোহাইড্রেট: ৭৪.৬ গ্রাম।
প্রোটিন: ১.৮ গ্রাম।
ফাইবার: ১.১গ্রাম।
ফ্যাট: ০.৩ গ্রাম।


কিসমিসের যত উপকারিতা :
সকালে কিসমিস ভেজানো পানি খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টরল এড়িয়ে সুস্থভাবে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
ক্যান্সারে উৎপন্ন ফ্রি র্র্যাডিকলগুলোকে ধ্বংস করে কিসমিসে থাকা ক্যাটেচিন নামক এন্টি অক্সিডেন্ট।
খাবার হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে।
হাড়ের গঠনে সহায়তা করে।
দৈনিক কিসমিস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।


০৩. লাউ বা কদু : লাউ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আরেকটি প্রিয় খাবার। দৈনিক খাদ্যাভাসে লাউ বা কদু রাখতে নিম্নের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো কাজে দিবে।
কুরআন ও হাদীসের আলোকে লাউ এর গুরুত্ব : হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার একজন দর্জি রসুল (সা.)-কে খাবারের দাওয়াত করে। আমিও মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে সেই খাবারে অংশগ্রহণ করি। রাসুল (সা.)-এর সামনে বার্লির রুটি এবং গোশতের টুকরা ও কদু মেশানো ঝোল পরিবেশন করে। আমি দেখেছি, রাসুল (সা.) প্লেট থেকে খুঁজে খুঁজে কদু নিয়ে খাচ্ছেন। আর আমিও সেদিন থেকে কদুর প্রতি আসক্ত হয়ে উঠি। (মুসলিম, ২০৬১; বুখারি, ৫০৬৪)

চিকিৎসাশাস্ত্র ও পুষ্টিবিজ্ঞানের ভিত্তিতে লাউ খাওয়ার উপকারিতা :
  


প্রতি ১০০ গ্রাম লাউ এর পুষ্টি গুনাগুন পরিমান নিচে উল্লেখ করা হলো: 
এনার্জি: ১৪কিলোক্যালরি।
কোলেস্টেরল:- ০ মিলিগ্রাম।
আয়রন:- ০.২ গ্রাম।
পটাশিয়াম:- ১৫০ মিলিগ্রাম।
ম্যাগনেসিয়াম:- ১১মিলিগ্রাম।
প্রোটিন: ০.৬২ গ্রাম।
শর্করা: ৩.৩৯ গ্রাম।
ভিটামিন সি: ১০.১ মিলিগ্রাম।
জিংক: ০.৭মিলিগ্রাম।
আঁশ: ০.৫ গ্রাম। 

কেন লাউ খাবেন? লাউ খাওয়ার নিম্নোক্ত কারণ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
লাউ এ বিদ্যমান ফ্যাট ও ক্যালরি তুলনামুলক কম রয়েছে, যা স্থুলতা কমাতে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরল এর পরিমান কম হওয়াতে দৈনিক লাউ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে লাউয়ের উপকারিতা অনেক।
লাউ এ অত্যাধিক পরিমান পানি (৯০%) থাকে, যা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে ভুমিকা রাখে


কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের মত রোগ প্রতিরোধে লাউ কার্যকর ভুমিকা রাখে।
০৪. কালোজিরা: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কালেজিরাকে মৃত্যু ছাড়া সর্ব রোগের ঔষুধ বলেছে। কালেজিরাকে খাদ্য তালিকায় রাখতে এর থেকে বড় কারন হয়ত আর দেওয়া প্রাসঙ্গিক না।

হাদীসের আলোকে কালোজিরা এর গুরুত্ব : আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘কালোজিরায় মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের ওষুধ রয়েছে। ’ (বুখারি : ৫৬৮৭, মুসলিম : ২২১৫)
চিকিৎসাশাস্ত্র ও পুষ্টিবিজ্ঞানের ভিত্তিতে কালোজিরার পুষ্টি গুণাগুণ : প্রতি ১০০ গ্রাম কালোজিরায় পুষ্টি উপাদান-
এনার্জি: ৩৪৫ ক্যালরি।
কোলেস্টেরল : ০মিলিগ্রাম। 
চর্বি: ১৫গ্রাম।
সোডিয়াম: ৮৮ মিলিগ্রাম।
পটাশিয়াম : ১৬৯৪ মিলিগ্রাম।
প্রোটিন :১৬গ্রাম। 


কালোজিরার উপকারিতা :
দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পরিয়ড চলাকালীন ব্যাথা এড়াতে খুবই কার্যকর।
প্রসুতি মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে সহায়তা করে।
চুলে ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয়।
স্মরনশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মানসিক সমস্য দুরীকরনেও কার্যকর ভুমিকা রাখে।
আরও জানতে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম লেখাটি পড়তে পারেন।   
০৫. মিষ্টি বা মধু : মিষ্টি বা মধু আমাদের প্রায় সকলেরই পছন্দের। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মিষ্টান্ন খুব পছন্দের ছিল। সুন্নত পালনের স্বাস্থ্যের উপকারে মিষ্টান্ন বা মধুর উপকারিতা নিচে জেনে নেয়া যাক,
হাদীসের আলোকে মিষ্টান্ন বা মধু এর গুরুত্ব :
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.) মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন।’ (বোখারি : ৫১১৫; মুসলিম : ২৬৯৫)।
বোখারি শরিফের আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মধু হলো উত্তম ওষুধ।’

চিকিৎসাশাস্ত্র ও পুষ্টিবিজ্ঞানের ভিত্তিতে মধুর পুষ্টি উপাদান : প্রতি ১০০ গ্রাম মধুতে পুষ্টিগুন উপাদান রয়েছে-
এনার্জি- ১২৭২ ক্যালরি।
ভিটামিন সি- ০.৫ মিলিগ্রাম।
শর্করা- ৮২.৪ গ্রাম।
স্নেহ- ০ গ্রাম।
প্রোটিন-০.৩ গ্রাম।
ক্যালসিয়াম- ৬মিলিগ্রাম।
আয়রন- ০.৪২ মিলিগ্রাম।
পটাসিয়াম- ৫২ মিলিগ্রাম।
জিংক- ০.২২ গ্রাম। 

মধুর উপকারিতা :
মধুতে বিদ্যমান আয়রন শরীরে রক্তশুন্যতা রোধ করে।
হাড় গঠনে মধুতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম ভুমিকা রাখে।
মধুতে বিদ্যমান ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে।
দেহে শক্তি সন্ঞ্চয় করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এছাড়াও সারিদ, মাখন, বার্লি, মুরগী, বেদানা-ডালিম, জলপাই,মাশরুম, আঙ্গুর, ভিনগার এর মত অনেক খাবারই মহানবী হযরত মুহাম্মদ( সাঃ) এর খাদ্যাভাসে থাকতই।
মুলত, আমি প্রধান খাদ্যগুলোর উপকারিতা ও গুরুত্ব লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সুস্বাস্থ্য বিবেচনায় খাবারসমুহের গুনাগুন ছাড়াও সুন্নত পালনে সকলেই মনোনিবেশ করবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।আসসালামু আলাইকুম।
বাদাম : বাদামের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

বাদাম : বাদামের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

 


বৃষ্টিস্নাতে বাদাম-বুট ভাজা চিবোনোর ইচ্ছের প্রয়াস! আবার, দুধের সেমাইয়ে ভেসে উঠা লোভনীয় চিনাবাদামটা আগেই খেয়ে নেওয়া! এই বাদাম তো আমাদের সকলেরই চেনা! বাদাম যদিও আমাদের অনেকেরই প্রিয়, তবে এই স্ন্যাক্সটি যে আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য জাদুকরী উপকার রাখছে তা নিয়ে কয়জনই বা জ্ঞান রাখি!


প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাদাম কি থাকছে? যদি না থাকে, তবে আজই বাদামের পুষ্টিগুণ সমুহ জেনে আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার তালিকায় বেছে নিন মুখরোচক বাদাম। আজকে থাকছে বাদামের উপকারিতা সম্পর্কিত তথ্য। 
বাদামের প্রকারভেদ ও চেনা পরিচিতি।
সাধারনত, আমাদের দেশে যেসব বাদাম খুব সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যায় যেসব বাদামের চেনা পরিচিত জেনে নেওয়া যাক!

০১. চিনাবাদাম। 
০২.আখরোট।
০৩. পেস্তাবাদাম। 
০৪. আমন্ড।
০৫. কাজুবাদাম এবং অন্যান্য!
বাদামের পুষ্টিগুণ সমুহ :
প্রায় সকল বাদামেই রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন,অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ প্রভৃতি! নিচের টেবিলটির দিকে লক্ষ্য করলেই আপনি প্রতিটি বাদামের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে তথ্য পাবেন। ⇓ 
নাম
প্রোটিন
মোট চর্বি
সম্পৃক্ত চর্বি
পলিউনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট
কার্বোহাইড্রেট
কাজুবাদাম
২১.২৬
৫০.৬৪
৩.৮৮১
১২.২১৪
৩২.১৫৫
২৮.১
আখরোট
১৫.২৬
৬৫.২১
৬.১২৬
৪৭.১৭৪
৮.৯৩৩
১৯.৫৬
চিনাবাদাম
২৩.৬৮
৪৯.৬৬
৬.৮৯৩
১৫.৬৯৪
২৪.৬৪
২৬.৬৬
পেস্তাবাদাম
২০.৬১
৪৪.৪৪
৫.৪৪
১৩.৪৫৫
২৩.৩১৯
৩৪.৯৫


বাদাম খাওয়া হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস সহ অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে।
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখার প্রয়োজনীয়তা!
বাদাম হলো বিকল্প নাস্তা।  যদিও বাদামে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে তবে এগুলো স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিন ও ফাইবারের ভালো উৎস। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে বাদাম বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে। বিশেষ করে হৃদরোগের ঝুঁকির কারণগুলি হ্রাস করার ক্ষেত্রে। ৩৩ টি গবেষণার একটি মেটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে বাদামের উচ্চ ডায়েটগুলি ওজন বা ওজন হ্রাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে না। তাহলে চলুন জেনে নিই বাদাম খাওয়ার স্বাস্থ্য পক্ষের উপকারিতা গুলি কি কি।  


০১. ক্লান্তি দূর করে বাদাম!
প্রতিদিন দৈহিক ও মানসিক পরিশ্রমে আপনার চারিপাশেই যেন ক্লান্তির ছায়া! আরেকটু ত কাজ করা দরকার, এখনই ঘুমোলে কেমনে? ঘুম ছাড়া আরেকটি উপায় এক্ষেত্রে কাজে দিবে! প্রতিদিন নিয়মিত বাদাম খেলে আপনার ক্লান্তভাব অনেকাংশে দুর হয়ে যাবে।
০২. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে বাদামের ব্যবহার!
৬৯ এর পর কোন সংখ্যাটি যেন মা পড়িয়েছিল? মনে পড়ছেনা কেন?!! আপনার শিশুর স্মৃতিশক্তি কি দুর্বল? অথবা আপনার ও কি কিছু জিনিস মাথায় থাকছেনা? আজই বাদাম খাওয়ার নিয়মিত অভ্যেস করুন। কারন এতে থাকা ভিটামিন বি আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা রাখে।


০৩. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ!
ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকেরই আছে! এই সমস্যা কেন হয়? রক্তে সোডিয়ামের পরিমান বেড়ে গেলে রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, যার ফলে হাই ব্লাড প্রেসার এর সৃষ্টি হয়! নিয়মিত বাদাম খেলে, রক্তে সোডিয়ামের মান নিয়ন্ত্রণে থেকে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিকে চলে আসে।

 ০৪. দুরারোগ্য রোগ ক্যান্সারে বাদামের উপকাতিরা :
কাজুবাদাম ক্যান্সার রোধে ঔষুধি গুন হিসেবে কাজ করে। কাজু বাদামে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার রোধে ভুমিকা রাখে।
০৫. শরীরের মেদ কমায় বাদাম!
মাত্রারিক্ত ক্ষুদা যেন বেড়েই চলেছে। হাটাচলা করতে লাগছে অস্বস্তি! মেদ দিন দিন বেড়েই চলেছে! কোন উপায় ই কাজে লাগছেনা!!!আর নয় টেনশন! কারন, প্রতিদিন বাদাম খেলে আপনার শরীরের মেদ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এর কারণ বাদাম আপনার অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা কমায় এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
০৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে বাদামের উপকারিতা :
শরীরের রক্তে শর্করা/গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়বেটিস এর লক্ষন দেখা যায়। এই রোগে নিয়মিত খাবার ও শারীরিক চর্চার পাশাপাশি প্রতিদিন বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী। এতে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রনে থাকে। 


বাদামের অপকারিতা :
বাদামের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা ও বিদ্যমান! কাঠবাদাম খেলে মেদ তো কমে, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোনকিছুই ভাল নয়। এতে থাকা প্রোটিন ও ফ্যাট আপনার মেদ/ওজন বৃদ্ধি ও ঘটাতে পারে। আবার কিছু কিছু বাদামে অ্যালার্জিও হতে পারে। যেমন- চীনাবাদাম খেলে অ্যালার্জির আশংকা দেখা দেয়।কাজুবাদাম অত্যাধিক পরিমানে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে। বাদামের উপকারিতা জেনে প্রতিদিন পরিমানমত বাদাম খাওয়ার অভ্যেস করুন এবং সুস্বাস্থ্যের কথা আরেকটিবার ভাবুন। তো আজ এই পর্যন্তই। আবারও দেখা হবে নতুন কোনো বিষয়ে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন এই কামনায়, আল্লাহ হাফেজ। 

Sunday, 15 December 2024

শীতের খাবার : শীতের সেরা পাঁচটি খাবার

শীতের খাবার : শীতের সেরা পাঁচটি খাবার

 


শীতের খাবার। শীতের মৌসুমে খালি পেটে এই পাঁচটি খাবার গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুন উপকারী। এই শীতের মৌসুমে স্বাস্থ্যকর ও ওজন হ্রাস করার জন্য আমাদের প্রাতঃরাশের জন্য পুষ্টিকর এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিৎ যা কেবল স্বাদের জন্য নয় বরং স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভালো বলে বিবেচিত হয়।


শীতের মৌসুমে এই জাতীয় অনেক খাবারই আছে। এছাড়াও এমন অনেকগুলি জিনিস রয়েছে যা খালি পেটে খেলেই ঢের উপকার যায়। শীতের সকালে খালি পেটে খেলে আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যেতে পারে। শীতকালে আপনি যে খাবার গুলি খেতে পারেন এবং পাশাপাশি যে খাবার গুলি খেয়ে বিভিন্ন রোগগুলি এড়াতে পারেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কি কি।
আরও পড়ুন : শীতের পায়ের যত্ন
শীতের মৌসুমে সবাই গরম খাবার খেতে উপভোগ করে এবং শীতের আবহাওয়া সবসময় গরম কিছু খাওয়ার মতো অনুভূতি তৈরি করে। তাই ভাজা খাবার খাওয়ার পরিমাণও শীতের মরসুমে বেড়ে যায়। ভাজা খাবার পেটে প্রচুর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও বেশি ভাজা খাবার খাওয়ার ফলে ওজনও বাড়তে পারে। তবে শীত মৌসুমে সুস্থ থাকতে এবং ওজন কমাতে আপনি আপনার ডায়েটে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । তাহলে আসুন এখানে আপনাকে শীতের স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে বলি যা শীতে আপনার খালি পেটে খাওয়া উচিৎ।
শীতের মৌসুমে খালি পেটে খাওয়া যায় এমন সেরা পাঁচটি  খাবারের  নাম

০১. ভেজানো বাদামঃ শীতের মৌসুমে সকালে খালি পেটে ভেজানো বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী বলে মনে করা হয়। বাদামের ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কার্যকরি বলে বিবেচিত হয়।
০২. ভেজানো আখরোটঃ আখরোট বাদামকে স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। বাদামের মতো আখরোট খাওয়াও বেশি উপকারী হতে পারে। সকালে খালি পেতে ভিজা খালি পেটে ভিজা আখরোট বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের অনেক উপকার হতে পারে।


আরও পড়ুন : কালো জিরা খাওয়ার উপকারিতা
আখরোট কি? আখরোট হচ্ছে এক প্রকারের বাদাম জাতীয় ফল যাতে অত্যন্ত পুষ্টিকর উপাদান যাতে প্রচুর আমিষ এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোট বাদামে ১৫.২ গ্রাম পরিমাণ আমিষ, ৬৫.২ গ্রাম ফ্যাট এবং ৬.৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
০৩. ওটসঃ খালি পেটে ওটস খেলে শরীরের শক্তি বজায় রাখে। শীতের মৌসুমে ওটস থেকে ভালো প্রাতঃরাশ বা ব্রেকফাস্ট আর কিছু হতে পারে না। ওটস কম ক্যালোরি এবং আরও পুষ্টিকর বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। ওটস আপনাকে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করতে পারে।


০৪. পেঁপেঃ পেঁপের খাবার পেট এবং হ্রাসের জন্য যথেষ্ট ভাল হিসাবে বিবেচিত হয়। সকালে খালি পেটে পেঁপে খেলে পেটের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে হ্যাঁ যাদের পেঁপে খেতে অ্যালার্জি আছে তাদের পেঁপে খাওয়া উচিৎ নয়।


০৫. মধুঃ শীতের মৌসুমে সকালে হালকা গরম পানিতে মধু পান করা শরীরের পক্ষে অনেক উপকার করতে পারে। মধু ঔষুধি গুণাবলী সমৃদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হয়। মধুতে প্রচুর খনিজ, ভিটামিন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং এনজাইম রয়েছে। এটি আপনাকে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।   
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, শীতে সকালের খাবার হিসেবে পাঁচটি খাবার থেকে যেকোনো একটি খাবার ব্রেকফাস্ট হিসাবে গ্রহণ করতে পারেন এবং তার সাথে আপনার স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রাখতে পারেন। তাহলে আজকের মতো বিদাই। ভালো ও নিরাপদে থাকুন। শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখুন। 

Monday, 9 December 2024

পুরুষের উত্থান ত্রুটি (ইরেকটাইল ডিসফাংশন

পুরুষের উত্থান ত্রুটি (ইরেকটাইল ডিসফাংশন

 


পুরুষের উত্থান ত্রুটি (ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা ED) এমন একটি শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা, যেখানে পুরুষ যৌনতা চলাকালীন বা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় উত্থান বা ইরেকশন অর্জন বা বজায় রাখতে পারেন না। এটি শারীরিক, মানসিক এবং জীবনধারার বিভিন্ন কারণে হতে পারে।


পুরুষের উত্থান ত্রুটির কারণসমূহ



শারীরিক কারণ:



হৃদরোগ এবং রক্তচাপ: রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা, যেমন হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ, উত্থান ত্রুটির অন্যতম প্রধান কারণ। এর ফলে পুরুষের পেনিসে যথাযথ রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়।

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু এবং রক্তবাহিনীর ক্ষতি হতে পারে, যা ইরেকশনে সমস্যা সৃষ্টি করে।


হারমোনাল সমস্যা: পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে ইরেকশন ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

ওজন বেশি এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা: অতিরিক্ত ওজন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক অনুশীলনের অভাবও উত্থান ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে।


অ্যালকোহল ও মাদক: অতিরিক্ত মদ্যপান, মাদকাসক্তি, ধূমপান ইত্যাদি শারীরিক ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং উত্থান ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে।

স্নায়ুজনিত সমস্যা: স্নায়ুসমূহে কোনো ধরনের আঘাত বা সমস্যা (যেমন প্যারালাইসিস, মজ্জার সমস্যা ইত্যাদি) উত্থানে বাধা দিতে পারে

মানসিক এবং আবেগিক কারণ:

অত্যাধিক মানসিক চাপ (Stress): কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক চিন্তা বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে উদ্বেগ ইত্যাদি উত্থান ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে।

ডিপ্রেশন: বিষণ্নতা বা মানসিক অবস্থা পুরুষের যৌন আগ্রহ এবং ইরেকশনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

আত্মবিশ্বাসের অভাব: শরীরী বা মানসিক অবস্থার কারণে নিজের যৌন ক্ষমতার প্রতি আস্থাহীনতা।

সম্পর্কের সমস্যা: যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের অভাব, সম্পর্কের টানাপোড়েন বা অতীতের অভিজ্ঞতা ইরেকশনে প্রভাব ফেলতে পারে।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

কিছু ঔষধ, যেমন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, ব্লাড প্রেসার কমানোর ঔষধ, অ্যান্টিহিস্টামিন, বা হরমোন থেরাপি ইত্যাদি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের কারণ হতে পারে।

উত্থান ত্রুটির প্রতিকার

শারীরিক চিকিৎসা:

ঔষধ: বাজারে বেশ কিছু ওষুধ (যেমন সিলডেনাফিল বা ভায়াগ্রা, তাডালাফিল বা সিয়ালিস) রয়েছে, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং ইরেকশন বৃদ্ধি করতে পারে।

হরমোন থেরাপি: যদি টেস্টোস্টেরনের অভাব থাকে, তবে হরমোন থেরাপি সহায়ক হতে পারে।

প্রতিস্থাপন বা পেনাইল প্রোটেসিস: যদি অন্যান্য চিকিৎসা সফল না হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেনিসে প্রোটেসিস স্থাপন করা হয়।

লাইফস্টাইল পরিবর্তন:

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ, যেমন ফলমূল, শাকসবজি, প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য।

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম, বিশেষ করে কার্ডিওভাসকুলার (হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী) ব্যায়াম, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন কমানোর মাধ্যমে উত্থান ত্রুটির ঝুঁকি কমানো যায়।

মানসিক এবং আবেগিক সহায়তা:

কাউন্সেলিং এবং থেরাপি: বিশেষজ্ঞ মনোরোগ চিকিৎসক বা যৌন থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে যদি মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা সম্পর্কের সমস্যা ইরেকশনের কারণ হয়।

যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন: মানসিক চাপ কমাতে এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন উপকারী।

ধূমপান এবং মদ্যপান বন্ধ করা:

ধূমপান এবং মদ্যপান ইরেকশন সমস্যার মূল কারণ হতে পারে, তাই এগুলো বন্ধ করা উত্থান ত্রুটির প্রতিকার হতে পারে।


ঔষধ পরিবর্তন:

যদি ইরেকটাইল ডিসফাংশন কোনো ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওই ঔষধ পরিবর্তন করা যেতে পারে।

শেষ কথা:

উত্থান ত্রুটি একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে, কিন্তু এটি সমাধানযোগ্য। যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে একজন চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রায় সঠিক পরিবর্তন এনে, অধিকাংশ পুরুষই এটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কালো কিচমিচ (Black Raisins) ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার অনেক উপকারীতা

কালো কিচমিচ (Black Raisins) ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার অনেক উপকারীতা

 


কালো কিচমিচ (Black Raisins) ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার অনেক উপকারীতা রয়েছে, যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। কিচমিচে প্রাকৃতিক সুরক্ষিত শক্তি এবং পুষ্টিগুণ থাকে, যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যখন কালো কিচমিচ ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হয়, তখন এর পুষ্টিগুণ আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং সহজে শোষিত হয়। নিচে কালো কিচমিচ ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

১. হজম শক্তি বৃদ্ধি

কালো কিচমিচে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার (আঁশ) থাকে, যা হজমের প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিজিয়ে রাখা কিচমিচে সেগুলির পুষ্টিগুণ বাড়ে এবং এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য হজম সমস্যা কমায়।

২. রক্তশুদ্ধি

কালো কিচমিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, এবং আয়রন রক্তের ক্ষতিকর পদার্থগুলো দূর করে এবং রক্তকে পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।

৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো

কালো কিচমিচে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৪. অ্যান্টি-এজিং প্রভাব

কালো কিচমিচে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে বয়সের আগের পরিবর্তন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক।

৫. শারীরিক শক্তি ও এনার্জি বৃদ্ধি

কালো কিচমিচে প্রাকৃতিক সুগার (ফ্রুকটোজ) ও পটাসিয়াম রয়েছে, যা শরীরকে প্রাকৃতিক শক্তি প্রদান করে। ভিজিয়ে খেলে এই শক্তি আরও দ্রুত শোষিত হয়, যা আপনাকে সারাদিন সতেজ এবং চাঙা রাখতে সাহায্য করে।

৬. হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করা

কালো কিচমিচে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের শক্তি এবং ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য খুব উপকারী, বিশেষ করে বয়স বাড়লে

৭. রক্তাল্পতা প্রতিরোধ

কালো কিচমিচে আয়রনের পরিমাণ খুবই বেশি, যা রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) প্রতিরোধে সহায়ক। এটি শরীরে রক্তের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।

৮. মধুমেহ (ডায়াবেটিস) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য

কালো কিচমিচে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা কমিয়ে রাখে এবং ইনসুলিনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে।

৯. কোলেস্টেরল কমানো

কালো কিচমিচে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কীভাবে কালো কিচমিচ ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায়?

কালো কিচমিচ ভিজিয়ে রাখার পদ্ধতি খুব সহজ:

রাতে ৭-৮টি কালো কিচমিচ পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন।

পরদিন সকালে খালি পেটে সেগুলি খেয়ে নিন।

এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে।

শেষ কথা:

কালো কিচমিচ একটি শক্তিশালী সুপারফুড এবং এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে, যেহেতু এতে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশ বেশি, সুতরাং এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে। সঠিক পরিমাণে এবং নিয়মিত খেলে, এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারে আসবে।

Saturday, 7 December 2024

উচ্চরক্তচাপ কমানোর ৫ টি সহজ উপায়।  ...

উচ্চরক্তচাপ কমানোর ৫ টি সহজ উপায়। ...

 


উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) কমানোর জন্য কিছু সহজ ও কার্যকরী উপায় রয়েছে, যা নিয়মিত অনুসরণ করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে। এখানে ৫টি উপায় দেওয়া হলো:

  1. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:

    • বেশি ফল, সবজি, সয়া, মাছ এবং কম লবণযুক্ত খাবার খেতে চেষ্টা করুন। ড্যাশ ডায়েট (DASH Diet) অনুসরণ করতে পারেন, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
    • স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন।
  2. বাড়তি ওজন কমানো:

    • বাড়তি ওজন রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
  3. নিয়মিত ব্যায়াম:

    • প্রতিদিন ৩০ মিনিটের হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।
  4. স্ট্রেস কমানো:

    • মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
  5. মদ্যপান ও ধূমপান পরিহার করা:

    • অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপান উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। তাই এই অভ্যাসগুলো পরিহার করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

এগুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হতে পারে। তবে, প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

শীতের শুস্ক ত্বক থেকে রক্ষা পেতে গুরুত্বপূর্ণ  নির্দেশনা

শীতের শুস্ক ত্বক থেকে রক্ষা পেতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা


 শীতকালে শুস্ক ত্বক থেকে রক্ষা পেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

  1. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিলিকন বা পেট্রোলিয়াম জেলির মতো ভারী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন, যা ত্বককে দীর্ঘসময় আর্দ্র রাখে।

  2. গরম পানি থেকে বিরত থাকুন: খুব গরম পানি দিয়ে গোসল করা ত্বককে আরো শুষ্ক করে ফেলতে পারে। তাছাড়া, দীর্ঘ সময় ধরে পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে দেয়। সুতরাং, হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।

  3. টোনার ও হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন: ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা রক্ষায় টোনার এবং হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকলেও শুষ্কতা কম হবে।

  4. পানি বেশি পান করুন: শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়লে পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে ত্বককে আর্দ্র রাখা সম্ভব।

  5. হালকা স্কিন পিলিং: ত্বকে মৃত কোষ জমে গেলে স্কিন পিলিং করা যেতে পারে, তবে অতিরিক্ত না করে মাসে এক বা দুইবার করা ভালো।

  6. রাতের স্কিন কেয়ার রুটিন: রাতে ত্বকের গভীর সেবা দিতে পারেন। এতে ময়েশ্চারাইজার এবং হালকা অয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বককে সুষম রাখা যায়।

  7. নতুন পণ্য পরীক্ষার আগে সতর্ক থাকুন: শীতকালে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে, তাই নতুন স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করা উচিত।

এগুলো মেনে চললে শীতকালে ত্বক শুষ্ক হওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমবে।

রাতে পাচ ঘন্টার কম ঘুম একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

রাতে পাচ ঘন্টার কম ঘুম একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

 


হ্যাঁ, রাতে পাচ ঘণ্টার কম ঘুম একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাধারণত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের সময় কম হলে তা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যের সমস্যার কারণ হতে পারে। নিচে কয়েকটি রোগের ঝুঁকি উল্লেখ করা হলো, যেগুলি কম ঘুমের কারণে বেড়ে যেতে পারে:

১. হৃদরোগ:

যারা রাতে নিয়মিত কম ঘুমান, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘুমের অভাব উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের অসুখ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যাগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত।

২. ডায়াবেটিস:

গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া কমে যায়, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কম ঘুম শরীরের মেটাবলিজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, যা পরবর্তী সময়ে উচ্চ রক্তে শর্করার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৩. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা:

ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি করে। এটি মনোযোগ, স্মৃতি, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া দীর্ঘদিন কম ঘুম মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৪. ওজন বাড়ানো:

কম ঘুমের কারণে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, বিশেষত গ্রীলিন এবং লেপটিন, যা খিদে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এই হরমোনগুলির ভারসাম্য নষ্ট হলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে এবং এর ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

৫. ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া:

ঘুমের অভাব ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করতে পারে, যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এটি সংক্রমণ এবং বিভিন্ন ধরনের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়।

৬. অবসাদ এবং মানসিক চাপ:

কম ঘুম মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ এবং হতাশার মতো মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে মনোসংযোগ কমে যায় এবং চাপের প্রভাব শরীরেও পড়তে পারে।

৭. ক্যানসারের ঝুঁকি:

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমের অভাব দীর্ঘকালীনভাবে কিছু ধরনের ক্যানসারের (যেমন স্তন ক্যানসার, প্রস্টেট ক্যানসার) ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এটি সম্ভবত ঘুমের সময় শরীরের পুনর্নির্মাণ এবং রিপেয়ার প্রক্রিয়ার বাধা সৃষ্টি করার কারণে হয়।

৮. ডিপ্রেশন:

কম ঘুম এবং দীর্ঘমেয়াদী নিদ্রাহীনতা ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে বা ডিপ্রেশনের লক্ষণকে আরও খারাপ করতে পারে। ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে, যা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

উপসংহার:

রাতে পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম একাধিক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ায়, এবং এটি শরীরের সাধারণ কার্যক্ষমতা, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাকেও প্রভাবিত করে। তাই, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য।

বেগুন খাওয়া কি নিরাপদ

বেগুন খাওয়া কি নিরাপদ

 


বেগুন খাওয়া সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে তা সমস্যাযুক্ত হতে পারে। বেগুনের উপকারিতা এবং সেগুলির খাওয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আপনি বুঝতে পারবেন কখন বেগুন খাওয়া নিরাপদ এবং কখন এটি পরিহার করা উচিত।

বেগুনের উপকারিতা:

  • পুষ্টিগুণ: বেগুনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যেমন ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাসিয়াম, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • হজমে সহায়ক: বেগুনের মধ্যে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পারে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: কম ক্যালোরি থাকার কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

সতর্কতা:

যদিও বেগুন খাওয়া সাধারণত নিরাপদ, কিছু পরিস্থিতিতে এটি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে:

  1. অ্যালার্জি: কিছু মানুষের বেগুনে অ্যালার্জি থাকতে পারে, যা ত্বকে চুলকানি, গা ঘোরানো বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি বেগুন খেয়ে অস্বস্তি অনুভব করেন, তবে এটি পরিহার করা উচিত।
  2. সোলানিন: বেগুন "সোলানাসি" পরিবারের একটি উদ্ভিদ, এবং এর মধ্যে সোলানিন নামে একটি রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে। সোলানিন অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে, তবে এটি সাধারণত বেগুনের তাজা অংশে খুব কম পরিমাণে থাকে। বেগুনের তাজা এবং পাকা অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোলানিন বেশি থাকে যদি বেগুন পুরোনো বা তাজা না হয়।
  3. গ্যাস ও পেটের সমস্যা: কিছু লোকের জন্য বেগুন হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যারা গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন। এই ধরনের সমস্যায় বেগুন খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা উচিত।

উপসংহার:

সাধারণভাবে, বেগুন খাওয়া নিরাপদ এবং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, যদি তা তাজা এবং সঠিকভাবে রান্না করা হয়। তবে, যদি আপনি বেগুনে অ্যালার্জি বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন, তবে এটি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।