সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

Monday, 16 December 2024

মেয়েদের নেফাস সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা।

 


মেয়েদের নেফাস যা বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকে শুরু হয়। আর তাই বিবাহিত নারীদের নেফাস সম্পর্কিত অতি গোপনীয় মাসআলাগুলি জানা বুঝা ও শিখা খুবই জরুরী। কিন্তু ইসলামি জীবন যাপনে অভ্যস্ত নন এমন নারীরা জানার সুযোগ না থাকার কারণে কিংবা লজ্জা ভয়ের কারণে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাগুলি জানতে ও বুঝতে পারে না। 

 তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। 
নেফাস সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা

মাসআলা : ৭৫. বাচ্চা জন্মগ্রহণ করার পর যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাকে শরীয়তের পরিভাষায় নেফাস বলে।
মাসআলা : ৭৬. নেফাসের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ দিন; তদপেক্ষা বেশি দিন রক্ত আসলে তা নেফাস নয় বরং তা ইস্তিহাযা।
মাসআলা : ৭৭. নেফাসের সর্বনিম্ন সময়ের কোন সীমা নেই। একদিন বা সামান্য সময়ের জন্যও উহা আসতে পারে। বরং যদি সন্তান জন্মের পর এক ফোঁটা রক্তও না আসে তাও সম্ভব।


মাসআলা : ৭৮. সন্তান প্রসবের পর সর্বাবস্থায় গোসল করা ওয়াজিব। রক্ত আসলে রক্ত বন্ধ হওয়ার পর আর রক্ত না আসলে নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার পর।
মাসআলা : ৭৯. এ সময় যদি গোসল করায় কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে অথবা গোসল করার সাহসই না হয় তবে গোসলের নিয়তে তায়াম্মুম করে নামায আদায় করবে। পরে হিম্মত আসার পর বা অসুস্থতার আশংকা কেটে গেলে গোসল করবে।


মাসআলা : ৮০. জমজ দুই শিশু প্রসব হলে প্রথম বাচ্চা থেকেই নেফাস গণনা করা হবে।
মাসআলা : ৮১. অস্ত্রপচার(সিজার) করে বাচ্চা বের করা হলে যদি লজ্জাস্থান থেকেই রক্ত আসে তবে তাকে নেফাসই মনেকরা হবে। অন্যথায় উহা নেফাস নয়।
মাসআলা : ৮২. নেফাসের রক্ত বন্ধ হয়ে হায়েয শুরু হওয়ার মাঝে কমপক্ষে শরয়ী নিয়ামানুযায়ী ১৫ দিন পবিত্র থাকা জরুরী। যদি ১৫ দিনের পূর্বেই হায়েয আসে তবে তা হায়েয নয় নয় বরং ইস্তিহাযা।
নেফাস অবস্থায় নামাজ
মাসআলা : ৮৩. নেফাসের সময় নামায মাফ হয়ে যায়। উহা আর আদায় বা কাযা কিছুই করা লাগে না।
মাসআলা : ৮৪. যখনই সময় ফরয হবে তখনই গোসল করে নামায শুরু করে দিবে। সময় থাকলে তা আদায় নামায হিসেবে গণ্য হবে নচেৎ কাযা হবে।
মাসআলা : ৮৫. নামাযের ওয়াক্ত সামান্য সময় বাকী থাকলে সুন্নত ছেড়ে দিয়ে ফরয পড়ে নিবে।


মাসআলা : ৮৬. ফরয এবং ওয়াজিব (যেমন বেতর) নামাযেরই কেবল কাযা আছে; সুন্নতের কাযা নেই। অবশ্য কারো ফজরের নামায কাযা হয়ে গেলে এবং সে (সূর্য) ডুবার পূর্বে উহার কাযা করলে ফজরের সুন্নতও পড়বে।
নেফাস অবস্থায় রোযা
মাসআলা : ৮৭. নেফাস অবস্থায় রোযা রাখবে না। তবে পবিত্র হওয়ার পর কাযা করা জরুরী।


মাসআলা : ৮৮. রোযা অবস্থায় নেফাস আসলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং পরে উহার কাযা আদায় আবশ্যক হবে।
মাসআলা : ৮৯. গোসল করতে পারে এতটুকু সময় থাকা জরুরী তবে গোসল করা জরুরী নয়। কারণ সুবহে সাদেকের পরে গোসল করলেও কোন ক্ষতি নেই।
মাসআলা : ৯০. গর্ভবতী রোযাদার মহিলার যদি রোযার কারণে বাচ্চার জীবনাশংকা হয় তবে রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েয।
মাসআলা : ৯১. গর্ভবতী অথবা দুগ্ধপানকারিনী মহিলারা নিজের বা স্বীয় বাচ্চার জীবনশংকা থাকলে রোযা রাখবে না। পরবর্তী সময় কাযা করবে।
নেফাস শেষ হবার পর গোসলের নিয়ম
মাসআলা : ৯২. নেফাসের গোসলের ঐ একই পদ্ধতি যা পূর্বে হায়েযের গোসলে বর্ণিত হয়েছে।

মাসআলা : ৯৩. জানা গেছে যে, অনেক জায়গায় মহিলাগণ নেফাসের ৪০ দিনের অনেক পূর্বে রক্ত বন্ধ হয়ে গেলেও নেফাসের দিনগুলোর পূর্ণ ৪০ দিন পর্যন্ত নেফাসের অবস্থায়ই কাটায় এবং নিজের এবং নিজেকে নাপাক মনে করে। এটা একেবারেই অনুচিত। এভাবে থাকা নাজায়েয এবং হারাম। বরং যখনই রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে এবং পুনরায় আর রক্ত আসার সম্ভাবনা না থাকবে তখনই গোসল করে নামায শুরু করবে।


উৎস : নারীর শ্রেষ্ঠ উপহার বই থেকে সংগ্রহিত। 
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আশা করি মেয়েদের নেফাস সম্পর্কিত মাসআলা গুলি জেনে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এটি ইসলামিক জীবন যাপনে মুসলিম নারীদেরকে সাহায্য করবে। এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: